চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে যুবদলের সম্মেলনকে ঘিরে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় এজহারভুক্ত ১৫ জনসহ অজ্ঞাত প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে জানাগেছে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজের হল রুমে যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাতে সদ্য ঘোষিত উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে, মামলা নং- ২৫।
এদিকে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন রন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন, মামালা নং-২৬।
এ মামলাকে ঘিরে বিএনপি, যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তৃণমূল বিএনপির নেতারা বলেন, যেখানে দলের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা সারা দেশে একদফা আন্দোলনকে গতিশীল করার লক্ষে একত্রিত হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেখানে এম এ হান্নান সাহেব এ সম্মেলন দিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। আজ তা মামলায় রুপ নিয়েছে।
এ সম্মেলনকে ঘিরে হামলা ও মামলার দায় কার? এই মূখ্যম সমেয়ে এই হামলা ও মামলায় ফরিদগঞ্জে আন্দোলনকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে বলে অনেকেই ধারনা করছেন।
টিএইচ