শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফরিদপুরের চারটি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১৩ প্রার্থীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের চারটি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১৩ প্রার্থীর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে ২১ প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ১৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোটের কম যারা পেয়েছেন, তারা জামানত হারাচ্ছেন।

ফরিদপুর-১ আসনে মোট পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাদের মধ্যে বিএনএম প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফর, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারজ্জামান খান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নূর ইসলাম সিকদারের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। শাহ মো. আবু জাফর ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৫টি, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আক্তারজ্জামান খান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নূর ইসলাম সিকদার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ ভোট।

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। জামানত রক্ষা করতে তার ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২২ হাজার ৮১টি। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬২টি ভোট। 

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মোট ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনে প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৬২৮টি করে। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন বিএনএমের প্রার্থী গোলাম রব্বানী খান। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৯২টি ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩২১টি ভোট। অপর দুই প্রার্থী জাতীয় পার্টির এস এম ইয়াহিয়া (৫৮৩ ভোট) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম এ মুঈদ হোসেন (৪৪১টি ভোট)।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে সাত জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। জামানত রক্ষা করতে এ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ৩৪ হাজার ৬৬৯টি করে। 

এ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাজমুন নাহার (৫৩৬ ভোট), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহম্মেদ মাওলা (৪০১ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন (৬০৬ ভোট), তৃণমূল বিএনপির প্রিন্স চৌধুরী (৪৫৮) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আলমগীর কবিরের (১৭৮ ভোট) জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, জামানত রক্ষা করতে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের নূন্যতম এক ভাগ ভোট প্রয়োজন হয়। যেসব প্রার্থী ওই পরিমাণ ভোটের তুলনায় কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। 

টিএইচ