ফরিদপুর শহরের সিএন্ডবি ঘাট পতিতাপল্লির বৃষ্টি আক্তার নামে এক যৌনকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বৃষ্টির। খবর পেয়ে কোতয়ালী পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
যৌনপল্লি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টি আক্তারের মা-বাবা নেই। ছোটবেলা থেকেই শহরের সিএন্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে বড় হয়েছেন তিনি। পরে সেখানেই পেশা হিসেবে যৌনকর্মীর পথ বেছে নেন বৃষ্টি। সেখানে থাকতেই শহরের রথখোলা এলাকার আজিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গত তিন মাস আগে আজিম বৃষ্টিকে বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলে সিএন্ডবি ঘাট থেকে রথখোলা এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আজিমের সঙ্গেই ছিল বৃষ্টি। গত বৃহস্পতিবার একটি রিক্সায় গুরুতর আহত বৃষ্টিকে সিএন্ডবি ঘাট যৌনপল্লীতে পাঠিয়ে দেয় আজিম।
সেখানে গেলে যৌনকর্মীরা বৃষ্টিকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বৃষ্টি। যৌনপল্লীর কর্মীদের দেয়া তথ্য মতে, বৃষ্টির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল, এমনকি ক্ষত ছিল তার যৌনাঙ্গেও।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন যৌনকর্মী বৃষ্টি। আজিম নামে তার কথিত প্রেমিক বা স্বামী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
তার মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বৃষ্টির মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিএইচ