রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফরিদপুরে ভূত আতঙ্ক ১৫ ছাত্রী অসুস্থ তদন্ত কমিটি 

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফরিদপুরে ভূত আতঙ্ক ১৫ ছাত্রী অসুস্থ তদন্ত কমিটি 

ফরিদপুরের নগরকান্দায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূত আতঙ্কে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে একটি মেডিকেল টিম বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 গত রোববার স্কুল চলাকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভূত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রাথমিকভাবে অসুস্থ ছাত্রীদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্রী জানান, বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন ছাত্রী অদৃশ্য কিছুর উপস্থিতি দেখতে পায়। এ খবর একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ভয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ গলা ছাড়া সাদা কাফনে মোড়ানো মানুষের দৌড় দেখতে পায়। বিষয়টি তারা একে অপরকে দেখালে একে একে ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন।

খবর পেয়ে ইউএনও কাফী বিন কবির, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল, থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলী মিঞা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা ভিত্তিহীন। এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। জানালায় গ্লাস লাগানো ছিল, সেখানে আলোর প্রতিফলনে এবং প্রখর রোদ ও গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা হয়তো চোখে ঝাপসা কিছু দেখেছে। 

এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে প্রায় ১৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্কুলে মেডিকেল টিম এনে তাদের চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে একটি মেডিকেল টিম বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে সবাই এখন সুস্থ রয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণেও এমন অবস্থাও হতে পারে।

এ বিষয়ে ইউএনও কাফী বিন কবির বলেন, তীব্র রোদ ও গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা হয়তো চোখে ঝাপসা কিছু দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়াও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার জন্য মানসিক ও পড়ালেখার চাপের কারণে হয়তো রাতে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি তারপর আবার প্রখর রোদ-গরম, সব মিলিয়ে তারা চোখে ঝাপসা দেখে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

টিএইচ