সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ফরিদপুরে শেখ হাসিনার জনসভা মঞ্চ প্রস্তুত 

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর

ফরিদপুরে শেখ হাসিনার জনসভা মঞ্চ প্রস্তুত 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নির্বাচনি জনসভা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। জনসভাস্থল সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নৌকার আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

জনসভাস্থল ও শহর ঘুরে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের।

সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ এবং অন্যান্য কাজ প্রায় শেষের দিকে। মাঠটি চারদিকে বাউন্ডারী ওয়ালে ঘেরা থাকায় দুটি গেইট দিয়ে জনসাধারনের ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ে। এছাড়া রঙিন ভাবে সাজানো হচ্ছে পুরো শহরকে। নতুন করে রং করা হচ্ছে সড়ক ডিভাইডারগুলোতেও। শহরকে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা।

জেলা আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরে পৌছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে এসেই মধ্যহ্নভোজে অংশ নিবেন। পরে বেলা ৩ টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দিবেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।

এদিকে দীর্ঘ ৫ বছর পর ফরিদপুর জেলা শহরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাসিত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। জনসভাকে সফল করতে কাজ করছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। নেতাকর্মীদের ভাষ্য, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর আগমণে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে তা অনেকটাই নিরসন হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিমানী কিন্তু বেঈমান না। নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বা অভিমান থাকতেই পারে। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ফরিদপুরে আসবেন আমি বিশ্বাস করি, সকল নেতাকর্মী ভেদাভেদ ভুলে এই জনসভায় অংশগ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যেখানে ইউনিফর্ম পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ, সিভিল পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ রয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, এসএসএফ, ডিজিএফআই ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

টিএইচ