বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

ফাঁড়ি হাজতে আত্মহত্যা: পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ফাঁড়ি হাজতে আত্মহত্যা: পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

গেলো সোমবার স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল গ্রামের নিজ শয়ন কক্ষ থেকে সখিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর নিহত সখিনা বেগমের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে সন্দেহভাজন তার কথিত প্রেমিক লেবু সিকদার (৫৫) ও সাবেক স্বামী মফিজুরকে আটক করে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির হাজতে রাখা হয়। কিন্তু রাত পেরোতেই লেবু সিকদার নামের ওই কথিত প্রেমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাজতের ভ্যান্টিলেটরের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে বাঁশতৈল গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে। লেবু সিকদার আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার বলছে তাকে চক্রান্ত করে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঁশতৈল ফাঁড়ির ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন ও মেসেজ পাঠিয়েও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

লেবু সিকাদারের ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাকে নিশ্চিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। তা না হলে হাজত খানার ভেতর রশি আসে কোতথেকে। হাজতখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য তখন কি ই বা করছিলো, চাচার লাশ নামানোর সময় আমাদের পরিবারের কাউকে রাখা হলোনা কেন?

তবে, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় উপস্থিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হাজতখানা ও টয়লেট পাশাপাশি। সুরতহাল করার সময় আমরা তাকে টয়লেটের ভ্যান্টিলেটরের রডের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি।

প্রসঙ্গত, সখিনা বেগমের সাথে লেবু সিকদারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরেই স্বামী মফিজুর এর সাথে কয়েক বছর আগে তালাকের ঘটনা ঘটে এবং সখিনা-লেবু সিকদারের সম্পর্ক নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার শালিসও হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের পূর্ণ ধারণা লেবু সিকদার আত্মহত্যা করেছেন তবে ময়নাতদন্তের পর তা স্পষ্টভাবে বলা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

কেএস