ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হাসানপুর দারুল উলুম আলিম মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার জন্য ভুয়া এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট দাখিলের অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আনন্দপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হারুন মজুমদার ওই ইউনিয়নের বন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সর্বশেষ ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনি হলফনামায় নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পাসের সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সার্টিফিকেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হারুন মজুমদারের দাখিল করা এসএসসি সনদ মতে, তিনি সিন্দুরপুর এস আর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ পাস করেছেন। অথচ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞান বিভাগ চালু করার জন্য বোর্ডে আবেদন করে ১৯৯৪ সালে এবং অনুমোদন পেয়েছে ১৯৯৫ সালে।
এদিকে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসিতে সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করেছেন এমনটাই দাবি তার। সার্টিফিকেট সিরিয়াল নং-১০৪০০২। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৫ সালে ফেনী কলেজের রেজিস্টারে বিজ্ঞান বিভাগের সিরিয়াল নং ছিল-১১২৫৬৪-১১২৯৫০। এছাড়া হারুন মজুমদারের নির্বাচনি হলফনামা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যমতে, তার জন্ম ১৯৬২ সালের ১০ জুন। সেই হিসেবে, তিনি ৩১ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেছেন! এমনকি এইচএসসি পাশ করতে সময় লেগেছে ৩৩ বছর!
অভিযোগ প্রসঙ্গে হারুন মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে এর আগেও মানুষজন বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
অন্যদিকে এমন প্রতারণা ও অপকর্মে ক্ষুব্ধ ফুলগাজী উপজেলার আ.লীগ নেতারা। স্থানীয় আ.লীগ নেতারা বলছেন, ‘এসব চেয়ারম্যানের কারণে মানুষ আ.লীগকে খারাপভাবে দেখছে।
টিএইচ