ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এস.আর. মাসুদ রানা বলেছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে সারাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়েছে, যা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় কোভিড ভ্যাকসিন নেয়া।
রোববার (২৪ মার্চ) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা সভায় দিকনির্দেশনা প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এবার বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দেশব্যাপী পুনরায় চালু হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম। যার অংশ হিসেবে ফেনী সদরেও চলছে এ কার্যক্রম।
উপজেলা কার্যালয়ে অবস্থিত স্থায়ী কেন্দ্রে শুক্রবার ও অন্য সরকারি ছুটির দিন ব্যাতীত প্রতিদিনই সকাল ০৮ টা থেকে দুপুর ০২ টা পর্যন্ত এ টিকা কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে রুটিন ইপিআই কেন্দ্রসমূহেও কোভিড টিকা দেয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২য় থেকে শুরু করে পরবর্তী যেকোন ডোজ দেয়া হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকার সর্বাগ্রে রয়েছেন ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব সকল জনগোষ্ঠী, ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব স্বল্পরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি, সরাসরি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্য কর্মী এবং গর্ভবর্তী নারী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মেডিকেল অফিসাররা, ব্র্যাক ও অন্য সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
টিএইচ