ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ এএসএম রুহুল ইমরান।
গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জাকির হাসান, বিজিবি-৪ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল রকিবুল হাসান পিএসসি, র্যাব-৭ এর ফেনী কমান্ডিং অফিসার মো. সাদেকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজোয়ান সফিকুল আরমান সাকিল।
জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ এএসএম রুহুল ইমরান ফৌজদারি মামলার বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক বলেন, যেকোনো মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তদন্ত। এর বেশির ভাগ কাজই তদন্তকারী সংস্থা করে থাকেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, মেডিকেল সনদ সংগ্রহ, আলামত জব্দকরণ, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ, ডিএনএ টেস্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ভিকটিমের জবানবন্দি, বিশেষজ্ঞের মতামত, এজাহারকারী/নালিশকারীর বক্তব্য রেকর্ড ও সংগ্রহে বিচ্যুতি হলে মামলায় বিরূপ ফল হয়।
এ জন্য সব তদন্তকারী সংস্থা ও এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে এবং সেই সাথে রিমান্ড শুনানিতে কেইস ডকেট ও সিডি উপস্থাপন, মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা পরিহার, দ্রুত মেডিকেল সনদ সরবরাহ, ফরেনসিক রিপোর্ট প্রাপ্তিতে কমিউনিকেশন জোরদার, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দাখিলে আরও দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও কনফারেন্সের ফোকাল পার্সন ফারহানা লোকমানের সঞ্চালনায় কনফারেন্সে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ফেনীর বিগত বছরগুলোর মামলার নিষ্পত্তির বিবরণী পেশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত সবাই মামলা নিষ্পত্তি ও বিচার কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ এবং পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তাসহ জেলায় কর্মরত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা, সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত অন্য ইউনিটের প্রতিনিধিরা।
টিএইচ