ফেনীতে মোশারফ হোসেন (৩৮) নামে এক যুবদল নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। সোমবার (৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার জেলার সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের সদস্য।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মোশারফ হোসেন গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার আসামি ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলামের সহযোগী।
মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, দুই দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে তিনি দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন।
গত রোববার গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে তার নেতৃত্বে স্থানীয় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। এরপর তাকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বলেন, মোশারফকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মোশারফ নিজেকে রবিউল ইসলামের বন্ধু বলে দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় নাশকতা, বিস্ফোরক, হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।
টিএইচ