প্রতীক বরাদ্দের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ফেনীর দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
নোটিশে আগামী ১৪মের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কেন দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে লেখা হবে না এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১১ মে রাতে ওই দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন এবং দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল কবির রতনের সমর্থকরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই গত কয়েকদিন ধরে দোয়াত কলম প্রতীক ও প্রার্থীদের ছবিসহ পোস্টার তৈরি করে প্রচারণা শুরু করেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে আজ। আগামী ২৯মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অথচ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই এই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতীকসহ পোস্টার তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
যদিও এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, প্রার্থী হিসেবে এখনো কোনো প্রতীক বরাদ্দ করা হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে যারা প্রতীক দিয়ে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকারের প্রতীকের ছবি ব্যবহার করে প্রচারণা চালাবেন না।
একই প্রসঙ্গে দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, আমি দোয়াত কলম প্রতীক চেয়ে নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। আমার শুভাকাঙ্খীরা ভালোবেসে অতি উৎসাহী হয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় তাদের এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছি।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে পোস্টার ছাপানোর সুযোগ নেই। এটা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। এজন্য তাদের দুই প্রার্থীকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ
