শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীর সফল খামারির এক বাগানেই ৯০ প্রজাতির আম

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর সফল খামারির এক বাগানেই ৯০ প্রজাতির আম

ফেনীতে এক বাগানেই চাষ হয়েছে ৯০ প্রজাতির আম। গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিভিন্ন প্রজাতির রসালো এ ফল।

ফেনী নদী তীরবর্তী মুহুরি সেচ প্রকল্পের এলাকায় সোনাগাজী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্সে ছয় হাজার গাছের এই আমের বাগানটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও স্থানীয় সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সোলায়মান। 

শুধু আমের মৌসুমে নয়; বারো মাসই আম পাওয়া যায় মেজর অব. সোলায়মানের এ বাগানে। প্রতিদিন জেলা শহর ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসেন বাগান দেখতে এবং আম কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, নওগাঁসহ দেশের সব অঞ্চলের আম রয়েছে এ বাগানে। 

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান, চীনসহ বিদেশি বাহারি নানা স্বাদের আমও রয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ জাতের আম মিলছে এই বাগানে।

মো. সোলায়মান ১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আম, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন, মধু, সরিষা উৎপাদন ও নার্সারি তৈরির বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে ১৯৯২ সালে তিন লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে পারিবারিক জমিতে খামার প্রতিষ্ঠা করেন। 

সেনাবাহিনী থেকে অবসরে এসে কৃষিতে শ্রম ও মেধা দিয়ে তিনি সফল হয়েছেন। নিজে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগান ও খামার পরিচর্যার কাজ করেন বলে বৃদ্ধ বয়সেও সুস্থ, সবল আছেন। কৃষিতে সময় দিলে কৃষি ভালো ফল দেয় এমনটাই দাবি তার।

তিনি বলেন, ৭০ একরের সমন্বিত খামারে প্রায় ১৫ একর জমিতে রয়েছে আম বাগান। এর মধ্যে ৪ একর জমিতে শুধুই আম বাগান। বাকি আমগাছগুলো লাগানো হয়েছে পুকুরের পাড়ে। এ ছাড়া আমের পাশাপাশি কাঁঠাল, উন্নত জাতের কলা, পেঁপে, নারকেল, ড্রাগন ফল, তীন ফল ও জামরুলের চাষও করেছেন তিনি। 

সমপ্রতি তার খামার প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ চাষের জন্য খনন করা বিশাল পুকুরের দুই ধারে আমগাছের সারি। গাছে গাছে ঝুলছে নানা প্রজাতির আম। একেক জাতের আমের গড়ন একেক রকম। গাছে গাছে ঝুলছে নানা জাতের বাহারি আম। 

খামারের মালিক মেজর অব. সোলায়মান বলেন, এসব আম বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না। খামারে এসেই ক্রেতারা কিনে নিয়ে যান। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু ক্রেতা রয়েছেন যারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম সংগ্রহ করেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পরে ঠিকানায় পৌঁছে যায় অর্ডার করা আম।

সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, যেহেতু মেজর অব. সোলায়মান সোনাগাজীর মাটিতে দেশের বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষাবাদ করে সফল হয়েছেন সেহেতু ফেনীর এই অঞ্চল আমবাগান করার জন্য উপযোগী। এ বাগানে উৎপাদিত আমের গুণগত মান ভালো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কিনে নিয়ে যায় এ বাগানের আম।

টিএইচ