শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বকশীগঞ্জে এক বিদ্যালয়ে ১৫ পদের ৭ টিতেই প্রধান শিক্ষকের স্বজনরা 

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

বকশীগঞ্জে এক বিদ্যালয়ে ১৫ পদের ৭ টিতেই প্রধান শিক্ষকের স্বজনরা 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে গোয়ালগাঁও পূর্বপাড়া জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫টি পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৭ পদে তার স্বজনদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার গোয়ালগাঁও পূর্ব পাড়া এলাকায় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। 

প্রথমে ২০১০ সালে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে এবং ২০২২ সালে মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত হয় এই বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫০ জন হলেও এখন পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীসহ ১৫ জন কর্মরত রয়েছেন।  গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতির খবর উঠে আসে। 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবারতন্ত্রের বিষয়টি নিয়েও তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। 

বিশেষ করে গোয়ালগাঁও পূর্বপাড়া জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার স্বজনদের নিয়োগ পাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম বিভিন্ন কায়দায় তার পরিবার ও স্বজনদের শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। 

প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তার স্বজনদের মধ্যে যারা রয়েছেন তারা হলেন- তার আপন ভাতিজা মিজানুর রহমান সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা), ভাতিজা মো. আক্তার হোসেন সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, আপন ভাতিজা মো. লিটন মিয়া নৈশ প্রহরী, চাচাত ভাইয়ের ছেলে সবুজ মিয়া পিয়ন, আরেক ভাতিজার স্ত্রী মনেজা বেগম আয়া ও প্রধান শিক্ষকের শ্যালক রবিউল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। 

স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম সবসময় তার পছন্দের ও তার ব্যক্তিগত লোকদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়ে তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার নিকট আত্মীয়দের নিয়োগ প্রদান করেন। 

এতে করে বিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগে তার স্বজনপ্রীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় এলাকার মানুষ। 

একারণে পূর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান এলাকার সচেতন মানুষ। 

স্থানীয়দের দাবি, বিগত সরকারের সময় তিনি আ.লীগের নাম ভাঙিয়ে দাপট দেখিয়ে নিজের লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননি কেউ। 

এ ব্যাপারে গোয়ালগাঁও পূর্ব পাড়া জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান, আমার পরিবার বিদ্যালয়ে ৭৬ শতাংশ জমি দিয়েছেন। ফলে যোগ্যতা থাকাই নিজের স্বজনদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়ার কথা স্বীকার করেন এ প্রধান শিক্ষক। 

টিএইচ