সিএনজি চালকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বকশীগঞ্জ-জামালপুর সড়কে তিনদিন বন্ধ রয়েছে সিএনজি চলাচল। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রুটের যাত্রীরা। দুর্ভোগ নিয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা যোগে যাত্রী চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জামালপুর থেকে রৌমারীগামী সিএনজি চালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। জামালপুর সিএনজি স্টেশনের কয়েকজন চালক রৌমারীগামী এক চালককে মারধর করেন।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জ ও রৌমারী থেকে জামালপুরগামী কোন সিএনজি জামালপুরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে তিনদিন ধরে জামালপুর-বকশীগঞ্জ রুটে সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর পর্যন্ত প্রতিদিন ১৪০ টি সিএনজির চালক বেকার হয়ে রয়েছে।
সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় জামালপুরগামী ও বকশীগঞ্জগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা সিএনজিতে করে গন্তব্যস্থলে যেতে না পেরে অটোরিকশা ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে করে যেতে হচ্ছে।
এতে করে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। দ্রুত আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান সিএনজি চালক ও সাধারণ যাত্রীরা।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, সিএনজি চলাচল না করায় জামালপুর শহর বা অফিসের কাজে যেতে হলে বেশি টাকা খরচ করে বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
বকশীগঞ্জ সিএনজির মাস্টার পপুলার মিয়া জানান, দ্রুত এর সমাধান না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই বিষয়ে পদক্ষেপ দরকার।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, মহাসড়কে তিন চাকার যানচলাচলের অনুমোদন নেই। তবে জনভোগান্তীর কথা চিন্তা করে চালকদের মধ্যে সমঝোতা হওয়া উচিত।
বকশীগঞ্জ ইউএনও অহনা জিন্নাত জানান, সিএনজি চলাচল বন্ধের বিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জেনেছি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ