সারা দেশের তীব্র তাপপ্রবাহের পর আজ চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এলেও বজ্রপাতে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরের দিকে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন– উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়া এলাকায় তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ও রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান (৫৫)। এ ছাড়া রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়ায় বজ্রপাতে মো. নজির (৫০) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঘরের পাশে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় ঝড়ো হাওয়া বজ্রপাতে হলে তিনি বজ্রাঘাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইশতিয়াক বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ মাঠে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টি আসায় মাঠে থাকা লবণ তুলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মগনামার রাজাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন– দিদারুল ইসলাম (২৯) ও মোহাম্মদ আরফাত (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে লবণ মাঠে পলিথিনে থাকা লবণ তুলতে যান দিদার ও আরাফাত। সেখানেই বজ্রপাতের শিকার হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত তাঁদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে ইয়াছিন আরাফাত নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে মাটিরাঙ্গার বড়নাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
স্বজনেরা জানান, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইয়াছিন আরাফাত বড়নাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মৃত কিশোরের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী।
টিএইচ