খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার শুড়িখালী ও বসুরাবাদ গ্রামে লবণাক্ত প্রবণ এলাকার জলবায়ু সহনশীল ফসলের অভিযোজন এবং উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. আহমদ খায়রুল হাসান কৃষিতত্ব বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর যথাক্রমে ড. কাজী ফরহাদ কাদির, প্রফেসর ড. মো. সালাহ্ উদ্দীন পলাশ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি খুলনার মো. কামরুল ইসলাম, কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ঢাকা এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা কৃষি অফিসার, বটিয়াঘাটা,খুলনা।
আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় ও দীপন কুমার হালদার এবং এলাকার শতাধিক কৃষক কৃষাণী। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কাছে পানির লবণাক্ত অভিশাপ।
তাই লবণাক্ততা সহনশীল ফসল সূর্যমুখী, ভুট্টা, বাদাম ও মিষ্টি আলু এবং ব্যবস্থাপনা করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এসব ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধি করে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি এই প্রকল্পের আওতায়।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আহমদ খায়রুল হাসান, বলেন দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার মাটিতে ফসল উৎপাদন করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমরা গবেষণার মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে লবণাক্ত প্রবণ এলাকায় নতুন নতুন কৌশল, নতুন ফসল, নতুন জাত এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করা, যাতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়, ফলে দক্ষিণ অঞ্চলে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে পতিত জমির সদ্ব্যবহার করে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জলবায়ু সহনশীল ফসলের চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি, ফলে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন এবং এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
টিএইচ