সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বরগুনায় অবাধে চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। সবজি বাজার থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই ব্যবহূত হচ্ছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যাগ। বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা পণ্য বিক্রিতে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই পলিথিনে পণ্য দিচ্ছেন।
সরেজমিন বরগুনা সদর উপজেলার মাছের বাজার ও পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে অবাধে চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা কারও কাছে নেই পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ। বিকল্প ব্যাগের মধ্যে বেড়েছে সিমেন্টের বস্তা থেকে বানানো প্লাস্টিকের ব্যাগ, প্লাস্টিক জাতীয় নেট ও পলিপ্রোপিলিনের টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার।
অন্যদিকে শহরের মুড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়ি পণ্যটি পলিথিন ছাড়া বিক্রির উপায় নেই। যেসব দোকানি নিয়ম মানছেন তারা বিকল্প ব্যাগ দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মনোয়ারা বলেন, ক্রেতারা সঙ্গে করে ব্যাগ নিয়ে আসেন না। তাই স্বল্প মূল্যের পণ্যের সঙ্গে আমাদের পলিথিনের ব্যাগ দিতে হয়। আবার না দিলে তারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য কেনেন না।
মাছ ব্যবসায়ী মনসুর আলী বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য খারাপ তা আমরাও জানি কিন্তু আমরা নিরুপায়। ১০০ টাকার মাছ কিনলে তার সঙ্গে ১০ টাকার ব্যাগ কেউ নিতে চায় না। আবার আগে যেখানে ১০০ টাকার পলিথিনে আমাদের সারাদিনে চলে যেতো, সেখানে ৬০০ টাকার ব্যাগ কিনলেও হয় না। সরকারের কাছে দাবি জানাই, বিকল্প ব্যাগগুলো যেন পলিথিনের দামেই আমরা কিনতে পারি।
বাজার করতে আসা সুমাইয়া অমি বলেন, ‘বাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ তাই আমি বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি আমার মতো কেউই ব্যাগ নিয়ে আসেননি। সবার হাতেই পলিথিনের ব্যাগ।
আবার অনেক মুদিদোকানে ব্যাগ ছাড়া গেলে ১০০ টাকার পণ্যের জন্যও ১০ টাকার ব্যাগ কিনতে হয়। কেউ আবার পলিথিনের টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করছে। আমার জানামতে যেটাও নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুতই বাজারে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারবো।
টিএইচ