বরগুনার তালতলীতে বাল্যবিয়ের দায়ে কনের বাবা ও ছেলের ভাইকে ৭দিন করে ও ঘটকের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রাম্য ইমাম ও হরিনখোলা মাদ্রাসার মৌলভীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা উপজেলার তাতিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কনের বাবা সরোয়ার খান (৩৫), এলাকার ঘটক সেন্টু মৃধা (৫০) ও ছেলের ভাই ছাব্বির হোসেন(৩০)। গ্রাম্য ইমাম মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাশেমকে (২৮) বিয়ে পড়ানোর দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তাতিপাড়া এলাকার সরোয়ার খানের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মোসা.তাবাসসুমের (১৪) সাথে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আক্কেলপুর এলাকার নিজাম নাজিরের ছেলে রাব্বির (২২) সাথে ঘটক সেন্টু মৃধার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল।
বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ বিয়ের আয়োজকরা পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনের বাবা, ছেলের ভাই ও ঘটককে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটক সেন্টুকে ১ মাস, মেয়ের বাবা সরোয়ার খান ও ছেলের ভাই ছাব্বিরকে ৭ দিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটক সেন্টা মিয়াই এই বাল্যবিয়ের সকল কিছু আয়োজন করেছেন।
টিএইচ