বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও ধর্ষণসহ ২৭ মামলার আসামি জাকির হাওলাদারকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে আটক করেছে।
এ সময় সন্ত্রাসী জাকির হাওলাদার তার ফুফাতো ভাই সগির হাওলাদারকে গুলি করে। এত তার শরীরে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত সগিরকে স্বজনরা উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে তালতলী থানার ওসি মো. কালাম খাঁন তাকে গ্রেপ্তার করেছেন। ঘটনা ঘটেছে সোমবার (২৫ নভেম্বর) তালতলী উপজলার বড়পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, তালতলী উপজলার পঁচাকাড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামের ময়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদার দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করছিল। ঢাকায় নানাবিধ অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন তিনি। তার বিরুদ্ধ ২৭ টি মামলা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর জাকির হাওলাদার এলাকায় ফিরে আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ জাকির এলাকায় এসে মাদকব্যবসা শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী জাকির তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দেয় এমন অভিযোগ কবির হাওলাদারসহ এলাকার একাধিক মানুষের।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাকির হাওলাদার বড়পাড়া গ্রামে মাদক বিক্রি করছিল। এমন সময় তার ফুফুতা ভাই সগির হাওলাদার তাকে বাঁধা দেয়। এত ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হাওলাদার তার ওপর পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। এত সগির হাওলাদারের রান ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
খবর পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ ঘটনা ঘটনাস্থলে এসে জাকির হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার সঙ্গে থাকা বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে আহত সন্ত্রাসী জাকির হাওলাদারকে পুলিশ হেফাজতে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
আহত সগির হাওলাদার বলেন, জাকির প্রকাশ্য রাস্তায় মাদক বিক্রি করছিল। এমন সময় আমি তাকে বাঁধা দেই। এতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গুলি চালায়।
তালতলী থানার ওসি মো. কালাম খাঁন বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে ঢাকায় ২৭টি মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ হফাজতে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শবাচিম হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ