বরিশাল সদর উপজেলায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাসার সামনের সড়ক থেকে তুলে নিয়ে এক সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩মে রাতে রায়াপাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ খান, ইমরান খান ও মামুন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত আরও একজন অজ্ঞাত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পরের দিন ভূক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিরাজ ও মামুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন। ঘটনার সময় ওই তরুণী নগরীর বিসিসি শিল্প নগরীর একটি কারখানা থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। ভূক্তভোগী তরুণী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ভূক্তভোগী তরুণী নগরীর বিসিক এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করেন।
ঘটনার দিন কর্মস্থল থেকে কাজ শেষে অটোরিক্সাযোগে ওই এলাকায় নামেন। তখন হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় বাসার সামনের সড়কে অভিযুক্তরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। তখন মুখ চেপে অভিযুক্তরা তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি কৃষিজমির মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তখন বিষয়টি প্রকাশ না করতে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তরুণীকে ভয় দেখানো হয়। এ সময় ভূক্তভোগী তরুণী ডাক-চিৎকার করে দৌঁড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন।
ভূক্তভোগী নারীর সঙ্গে তার স্বামীর মনোমালিন্য চলমান থাকায় তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে অভিযুক্তদের একজন মিরাজ কৌশলে ভূক্তভোগীর মোবাইল নম্বর নিয়ে কুপ্রস্তাব দিতো বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের পরিদর্শক লোকমান বলেন, এ ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টিএইচ