বরিশালে বসতঘরের মধ্যে হত্যার পর এক বৃদ্ধার মরদেহ মাটিচাপা দেয়ার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঘরের মধ্যে নেশা করতে বাধা দেয়ায় প্রথমে ধর্ষণ ও পরে গলায় কাপড় পেচিয়ে হত্যা করে ঘরের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া হয় বৃদ্ধাকে। এ ঘটনায় থানায় হত্যামামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৭ মাস ধরে কোন খোঁজ ছিলোনা রিজিয়া বেগমের। গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে আসনে রিজিয়া বেগমের ছেলে। পরে বাসায় এসে মাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জানান ছেলে রাসেল। পুলিশ এসে ১৪ এপ্রিল বৃদ্ধা রিজিয়া বেগমের মরদেহ ঘর থেকে উদ্ধার করে।
এরপর বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য। পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা রিজিয়া বেগমের ছেলে রাসেলের বন্ধু ফয়সাল ও লালচান মাদকাসক্ত ছিলো। বৃদ্ধা রিজিয়া বেগমের ঘরে বসে নেশা করতো তারা। চাকরি পেয়ে রাসেল ঢাকা চলে যাবার পরও রিজিয়া বেগমের ঘরে নেশা করতে যেতো ফয়সাল ও লালচান। এতে বাধা দেয়ায় গতবছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রিজিয়া বেগমকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে গলায় কাপড় পেচিয়ে হত্যা করে ঘরের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর ফয়সাল পালিয়ে গেলেও এলাকায় থেকে যায় লালচান। রিজিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধারের পরে অণুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফয়সাল ও লালচানকে গ্রেপ্তার করেন তারা। নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেন বাকেরগঞ্জ থানায়। আটক দুই বন্ধু ফয়সাল ও লালচানের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় ২টি মামলা রয়েছে।
টিএইচ