শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

বর্ষা মৌসুমের নবাবগঞ্জে কোষা নৌকা তৈরির হিরিক

নবাবগঞ্জ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

বর্ষা মৌসুমের নবাবগঞ্জে কোষা নৌকা তৈরির হিরিক

আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল হলেও বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুম প্রায় ৪ মাস থাকে। বর্ষায় গ্রাম-গঞ্জের নদী নালা ও চরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র বাহন হলো নৌকা। তাই নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত নবাবগঞ্জের শুরগঞ্জ এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন। 

তিনি পদ্মা নদী ও খাল বিলের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট কোষা নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিল্লাল ছাড়াও আরও তিনটি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরির কাজ। এরমধ্যে আওয়াল খানের কারখানাও অনেক নৌকা দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের অদূরে শুরগঞ্জ এলাকার ইছামতি নদীর তীরে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত মিন্ত্রি বিল্লাল হোসেন। সঙ্গে একজন কর্মচারীও আছেন। গত প্রায় এক মাস যাবত তিনি এই কোষা নৌকা তৈরি করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন গড়ে ২/৩ টা কোষা নৌকা বিক্রি হয়। যার দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।

 তিনি মনে করছেন এবার কমপক্ষে ৩শ নৌকা বিক্রি করবেন তিনি। এ পর্যন্ত ৭০ টি নৌকা বিক্রি করেছেন। অধিকাংশ ক্রেতা আসছেন তার দোকানে নবাবগঞ্জের আড়িয়াল বিল, বাহ্রা, গালিমপুর, দূর্গাপুর, সোনাহাজরা, কামারখোলা, শান্তিনগর, পাইকশা, দোহারে ইসলামপুর, বানাঘাটা, আলামিন বাজার, নিকরা, কাচারিঘাট, কার্তিকপুর, মৈনটঘাট, ফরিদপুরের সদরপুর ও পিয়াজখালী থেকে।  

এছাড়া যেসব এলাকায় বর্ষার পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় কাঁচা সড়ক পানিতে ডুবে যাচ্ছে। সেখান থেকে অনেকেই আসছেন নৌকা কিনতে। আবার কিছু কিছু লোক এসে দেখে যাচ্ছেন। হয়তো পরে আসবেন এমন হতে পারে বলে জানান তিনি।

১৯৯৮ সাল থেকে বিল্লাল হোসেন নবাবগঞ্জের শুরগঞ্জ এলাকায় কাঠ ও নৌকা তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকায় তিনি নিজের বাড়িতে বসত করেন। এ পেশায় সে এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী। পরিবার নিয়ে সুখেই আছেন বলে জানান। 

নৌকার তৈরির কারিগর বিল্লাল হোসেন ও আওয়াল খান বলেন, বর্ষায় বেশী পানি হলে তাদের তৈরি নৌকার চাহিদা বেড়ে যায়। সাধারণত ছোট পরিবারের জন্য এ ধরনের কোষা নৌকা বেশী প্রয়োজন হয়। নদীর তীরবর্তী চর ও বিল অঞ্চলের মানুষের কাছে এ কোষা নৌকার কদর অনেক বেশী। বর্ষা মৌসুমে গো খাদ্য সংগ্রহ ও হাটবাজারে যেতে এটা বেশী ব্যবহার হয়।
 
টিএইচ