শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বাগমারায় তরুণ খুনের ঘটনায় আদালতে মামলা 

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাগমারায় তরুণ খুনের ঘটনায় আদালতে মামলা 

রাতে সহযোগিদের নিয়ে যশোর থেকে রাজশাহীর বাগমারায় এসে খুনের শিকার হওয়ার ১৭দিন পর আরেকটি হত্যামামলা হয়েছে। খুনের শিকার হওয়া তরুণের চাচাত ভাইয়ের পর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

রাজশাহীর আদালতে করা মামলায় স্থানীয় ঝিকড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে, একই ঘটনায় একাধিক মামলার সুযোগ নেই, তবে আগের মামলার সঙ্গে যুক্ত করে তদন্ত করা হবে। এ মামলার পর স্থানীয় একটি চক্র এজাহারে নাম থাকা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। 

ঝিকড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, যশোর থেকে কীভাবে নিহত তরুণ বাগমারায় আসলেন এবং কারা নিয়ে আসলেন সেটাসহ আসল খুনীদের খুঁজে বের করা উচিত। মামলার তদন্ত চলা অবস্থায় একটি পক্ষের ইন্ধনে তার নাম যুক্ত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে যা সুষ্ঠু তদন্তে বাধাগ্রস্ত করার শামিল। 

ওই চক্রটি লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সোহাগ হোসেন খুনের শিকার হন। ওই রাতে স্থানীয় একটি পক্ষের হয়ে সহযোগিদের নিয়ে মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়ায় আসলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পড়ে তিনি নিহত হন। 

এ সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে গাড়িচালকসহ তিন বহিরাগত আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে। এই ঘটনার পরের দিন নিহত তরুণের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যামামলা করেন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থেকে লাশ গ্রহণ করেন। 

পুলিশ ও র্যাব ওই মামলার সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিকে মামলার তদন্ত চলা অবস্থায় নিহতের বাবা শরিফুল ইসলাম রাজশাহীর আমলি আদালতে একই অভিযোগে আরেকটি হত্যামামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বাগমারা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। 

গত রোববার মামলাটি আদালত থেকে থানায় পৌঁছেছে। মামলায় ঝিকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই আসাদুল ইসলামের নামসহ আরও ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

মামলা প্রসঙ্গে নিহত তরুণের বাবা বলেন, পুলিশ তার ভাতিজার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে। তাই তিনি আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেছেন। তবে থানার ওসি বলেন, নিহত তরুণের ভাই থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করেছেন। তিনিই এজাহার থানায় জমা দিয়েছেন।
 
টিএইচ