রাজশাহীর বাগমারায় মৌসুমের বোরো ধান কাটা-মাড়ায়ে কৃষকরা ব্যস্ত। চাষের শুরুতে বিদ্যুত সংকট, প্রচন্ড খরার কবলে পড়লেও পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ধানের উৎপাদন বাড়লেও কৃষককের মুখে হাসি নেই। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধিতে ধানচাষের উৎপাদন খরচ জুটছে না। এতসব মিলে এলাকার কৃষকরা চরম হতাশায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ করা হয়েছে। গত মৌসুমে বোরো ও আউস ধানের ফলন বিপর্যয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারে এলাকায় অনেক বেশী জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এখন পুরোদমে ধান কাটা-মাড়ার উপযুক্ত সময়। মাঠের ধান হীর পাকায় পরিপূর্ণ। কিন্তু শ্রমিক সংকটে অতিরিক্ত মুজুরীতে কৃষকের ধান কেটে নিতে মাথায় হাত উঠেছে।
উপজেলার বালানগর, দেউলিয়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতবছর বীজ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান চাষে প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছিল। এবারে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে গত বছরের থেকে বেশী ধান চাষ ও উৎপাদনে ঝুঁকে।
বালানগরের কৃষক ময়েন উদ্দিন জানান, ৪ বিঘা জমিতে এবারে বোরো ধান চাষ করা হয়। ইতোমধ্যে ১ বিঘা জমির স্থানীয় জাতের ধান কাটা হয়েছে। ধানের ফলন একরকম। তবে শ্রমিক না পেয়ে আর ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, ১ বিঘা জমিতে এবারে বোরো ধান চাষ করতে ১২/১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ১ হাজার টাকা দামে ধান বিক্রি চলছে। শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধিতে ধান চাষে বিঘা প্রতি ২ হাজর থেকে ৩ হাজার টাকা লোকশান গুণতে হচ্ছে।
টিএইচ