বাগেরহাটে চাঞ্চল্যকর বিএনপি নেতা মো. সজিব তরফদার হত্যায় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আবু বক্কার শিকদার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও হত্যার কাজে ব্যবহূত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করা চারজন ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ। শনিবার (০৯ নভেম্বর) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এতথ্য জানান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার হুগলি বাটকা নামক স্থান থেকে আবু বক্কার শিকদারকে গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মির্জাপুর-সাহপাড়া এলাকা একটি নালা থেকে একটি দোনালা পাইপগান, একটি একনালা পাইপগান, একটি ধারালো অস্ত্রের বাট, একটি লাল রঙের কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আবু বক্কার শিকদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড় গ্রামের মৃত আ. সোবহান শিকদারের ছেলে। পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বক্কার শিকদার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সরাসরি কিলিং মিশনে ৪ জন অংশগ্রহণ করেছিল।
৩ লাখ টাকা চুক্তিতে আবু বক্কার শিকদার ও তার সহযোগী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও সরাসরি হত্যার সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। সট. মো. তৌহিদুল আরিফ, পুলিশ সুপার, বাগেরহাট।
গেল ৫ নভেম্বর দুপুরে ডেমা গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাওয়ার পথে মির্জাপুর-আমতলা মসজিদের সামনে গুলি করে ও কুপিয়ে বিএনপি নেতা মো. সজিব তরফদারকে হত্যা করে দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে সজিবের স্ত্রী নাইমা ফারহানা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেন।
টিএইচ