নিজের সন্তান ঢাকার নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর হিলির রাস্তায় রাস্তায় মানবেতর জীবনযাপন করা সেই মায়ের আশ্রয় এখন এক পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত রংপুরের হারাগাছ উপজেলার সাফল্যের গল্প শোনাবো” নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে।
দুটো কাপড় একটি ব্যাগসহ ঢাকা থেকে হিলির বাসে তুলে দিয়ে নেমে যায় সন্তান। এরপর হিলি সিপি রোডে সাংবাদিক রবিউল ইসলাম সুইটের বাসার নিচতলার সিড়ির কাছে আট থেকে দশ দিন সেখানে ছিলেন। কেউ দিলে খায় না দিলে না খেয়ে থাকে।
বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করার পর প্রশাসনের নজরে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে তার ছেলের খোঁজ করার চেষ্টা করা হয়।
ছেলের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সেই মাকে পুলিশের এসআই রেজাউল করিম এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত রংপুরের হারাগাছ উপজেলার সাফল্যের গল্প শোনাবো” নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন, ইউএনও অমিত রায়, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদ রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস, ওসি আবু ছায়েম মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিনসহ বৃদ্ধাশ্রমের গাড়িতে তুলে দেন।
এবিষয়ে হাকিমপুর ইউএনও অমিত রায় বলেন, শাকিলা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর হিলিতে আসেন, বিষয়টি উপজেলা প্রসাশনের নজরে আসার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি ও জেলা প্রসাশক মহোদয়কে অবগত করি তিনি বিষয়টি মানবিকতার সাথে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। ওসি সাহেবের মাধ্যমে একটি বৃদ্ধাশ্রমের খবর পেয়েছি। সাফল্যের গল্প শোনাবো” নামের বৃদ্ধাশ্রমটিতে তাকে পাঠানো হচ্ছে।
হাকিমপুর থানা ওসি আবু ছায়েম মিয়া বলেন, আরআরএফ (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স রংপুর) কমান্ডার ফোনে জানান, আমাদের পুলিশেরই একটি বৃদ্ধাশ্রম আছে। রংপুর মেট্টোপলিটনে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা করেন, পরবর্তীতে বৃদ্ধাশ্রমের কাগজ পাঠিয়ে দেন, এটি একটি নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম পরবর্তীতে ইউএনও, সমাজসেবা অফিসারসহ আলোচনা মাধ্যমে তাকে এই বৃদ্ধাশ্রমে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
টিএইচ