বিরলের ৬নং ভান্ডারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ মামুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে গত বৃহষ্পতিবার ইউএনও বরাবরে দরখাস্ত জানিয়েছে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা। ইউএনও বহ্নি শিখা আশা তাদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বস্ত করেছেন।
সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা অভিযোগে জানান, আমরা সকলেই বিরল থানাধীন ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সদস্যা। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুন প্রতিমাসের মাসিক মিটিং সঠিকভাবে করেন না। তিনি আমাদের ইউপি সদস্য ও সদস্যার মাসিক সম্মানি ভাতা প্রদান করেন না।
এমনকি মাসিক মিটিংয়ে আমাদের অবহিত করেন না। ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ, ভিডব্লিউডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, টিআর কাবিখা এবং অন্য সব উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান এককভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তার পছন্দীয় লোকদের মধ্যে বিলি বন্টন করেন। আমরা নির্বাচিত ইউপি সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমাদের নিজস্ব এলাকার গরীব, দুস্থ ব্যক্তিদের কোন সাহায্য সহযোগিতা বা কোন কার্ড দিতে পারি না। এতে এলাকায় আমাদের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তাই আমরা ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা ওই চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য অনাস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এমতাবস্থায় দরখাস্তের মাধ্যমে আপনার বরাবর লিখিত অনাস্থা জ্ঞাপন করলাম।
দরখাস্তে স্বাক্ষর করেন, সংরক্ষিত সদস্য মোছা. রাজিনা বেগম, কারিমা খাতুন, পূর্ণিমা রাণী, সাধারণ সদস্য- মো. সহিদুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. সামিদুর রহমান, মো. কলিম উদ্দীন, আনন্দ চন্দ্র রায়, যাত্রু মহন, মো. আতিউর রহমান।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টিএইচ