ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতে করা মামলার রায়ের ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ মে রায়ের ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শুনানির কথা থাকলেও দুপুরে সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. হাসিবুল হাসান শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন। তবে শুনানীর নতুন তারিখ ধার্য করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চরমোনাইপন্থী নেতাকর্মীরা। পরে শুনানীর নতুন তারিখ ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র ভূয়া ভূয়া স্লোগান নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকে থাকা পুলিশী বাধা উপক্ষো করে আদালত চত্ত্বরে প্রবেশ করে চরমোনাইপন্থী নেতাকর্মীরা।
পরে আদালতের মধ্যে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের আদালতের ফটক থেকে সরিয়ে দেন। এর আগে সকালে একই দাবিতে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাইন হল চত্বরে সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে একটি বিশাল মিছিল সহকারে বরিশাল জেলা দায়রা ও জজ আদালতের প্রধান ফটকের সামনে এসে জড়ো হয়ে অবস্থান নেয় আদালতের রায় শোনার জন্য নেতাকমীরা। এতে সদর রোড এবং আদালতের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিলে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক ও যান চলাচল। আর এতে ভোগান্তিতে পরেন পথচারীরা। মামলার বাদীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শেখ আব্দুল্লাহ নাসের জানান, সিটি মেয়র হওয়ার মামলার রায় ঘোষণার পূর্ব তারিখ ছিলো।
কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. হাসিবুল হাসান শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন। আগামী ৫ মে রায় ঘোষণার নতুন তারিখ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। তবে রায় সন্তষ্ট না হলে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। তিনি আরও বলেন রায় ঘোষণার সময় পিছিয়ে দেয়ায় বরিশালবাসী মিছিল করেছেন।
চরমোনাইপন্থী নেতাকর্মীরা দাবি করেন, ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে ফলাফল করচুপি করে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করেছিলো। সেই ফলাফল বাতিল করে ২য় অবস্থানে থাকা তাদের হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করতে হবে। নয়তো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুঁশিয়ারী দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল শায়েখে চরমোনাই ফয়জুল করীম বরিশালের মেয়র হতে মামলা করেন। ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ৮৫ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট পেয়েছিলেন।
এদিকে গত ২৩ এপ্রিল জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও সেই ভোটের ফলাফল বাতিল চয়ে আদালতে একটি মামলা করেন।
টিএইচ