কুমিল্লার বুড়িচংয়ের নিমসার বাজারে জিপির বাড়তি চাঁদার টাকা না দেয়ায় পিকআপ চালককে কুপিয়ে আহত করেছে ইজারাদারের নিয়োগকৃত লোকজন। আহত চালক বর্তমানে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত পিকআপ চালকের নাম ইব্রাহিম খলিল (২৬)।
সে নিমসার এলাকার মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে। গত দেড় মাসে অন্তত ১০ জন চালক-হেলপার বিভিন্নভাবে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ চালক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন বাজার এলাকার স্ট্যান্ড ইজারা দিলেও মহাসড়কে থাকা যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও জিপি স্ট্যান্ডে অতিরিক্ত চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে পিকআপ, ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেছে। এ নিয়ে নিমসার বাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহিমের বড় ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ইব্রাহিম একজন পেশাদার পিকআপ চালক। সে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষা নিমসার বাজারের সবজিসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের কাজ করে আসছে। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় নিমসার সবজি বাজারে গিয়ে কাঁচা সবজি পিকআপে লোড করতে থাকে।
এসময় বাজারের ইজারাদারের লোকজন তার কাজে জিপির ১২০ টাকা দাবি করলে ইব্রাহিম টাকা দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর তার কাছে আরও ৩০ টাকা দাবি করে ইজারাদারের লোকজন। বাড়তি ৩০ টাকা দেবেনা বলে ইব্রাহিম। এতে ইজারাদারের লোকজন ইব্রাহিমের ওপর হামলা করে মারধর করে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় লোকজন গাড়ির চাবি এনে দিলে ইব্রাহিম পিকআপ ভর্তি সবজি নিয়ে পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলায় চলে যায়। সেখানে সবজি দিয়ে সকাল সোয়া ৯টায় নিমসার বাজারে আসলে মো. বিল্লাল, মো. শাহজাহান সাজু, মো. সোহেলসহ আরও ৪-৫ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ইব্রাহিমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় ইব্রাহিমের পেটে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে মারত্মক জখম করে।
বুড়িচং থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টিএইচ