বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন ভবনের চারদিকে সবুজের সমারোহ। আঙ্গিনায় আবাদ করা হয়েছে ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, শিম, গাজর, লাউ, ক্যাপসিকাম, ওলকচু, সজিনা, লালশাক ও পালংশাক। তাছাড়াও রয়েছে আম্রপালী, কিউজাই, ব্ল্যাক স্টোন, গৌড়মতি, বারি আম-৪, বারি আম-১০ জাতের আমগাছ।
এছাড়াও ভবনের দুইপাশে করা হয়েছে ফুল বাগান এভাবেই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে কৃষি অফিসের আঙ্গিনা পরিণত হয়েছে কৃষি খামারে।
উপজেলা সদরের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, আমি উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনার শাক-সবজি চাষাবাদ দেখছি। এখানে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।
সবজি উৎপাদনে অর্গানিক সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজির ফলনও ভালো। ভবিষ্যতে আমরা এ সবজির আবাদ বৃদ্ধি করব। কৃষক ও তরুণ ব্যবসায়ী মো. সুজন বলেন, কৃষি অফিসের আঙ্গিনা সবুজে সেজেছে। সেই সঙ্গে এখানে শাক-সবজি ফলানো হচ্ছে। বাইরে থেকে একটি আদর্শ কৃষি খামারের মতো দেখা যাচ্ছে। শাক-সবজির চাষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমিও আমার বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমিতে শাক-সবজির আবাদ শুরু করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিণা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা এখানে নিরাপদ ও বিষমুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন শুরু করি। এখানে উৎপাদিত শাক-সবজি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাচ্ছেন।
নিরাপদ এসব শাক-সবজি খেয়ে তারা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। শাক-সবজি, ফুল ও বৃক্ষরাজিতে কৃষি অফিসের ক্যাম্পাসসহ উপজেলা উপজেলা প্রশাসনিক ভবন এখন মুখরিত।
ইউএনও সাহিদা আক্তার বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোন জমি যাতে পতিত না থাকে সেই লক্ষ্যে শাক, সবজি চাষে উপজেলার আশেপাশের খালি জায়গাগুলো আবাদে পিছিয়ে নেই উপজেলা কৃষি অফিস। ফুল ও সবুজ বৃক্ষ শোভা ছড়াচ্ছে। কৃষি অফিস কর্তৃপক্ষ সবজি চাষ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহমেদ অক্ষর বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনা শাক-সবজি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। এখানে উৎপাদিত সবজি নিরাপদ। এটি খেয়ে ওই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি অনুকরণ করে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।
টিএইচ