শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বেড়ায় গো-খাদ্যের দাম কমলেও দুধের দামে হতাশ খামারি

পাবনা প্রতিনিধি

বেড়ায় গো-খাদ্যের দাম কমলেও দুধের দামে হতাশ খামারি

বেশ কিছুদিন ধরে বেড়া উপজেলার হাট-বাজারে প্রায় সবধরনের গো-খাদ্যের দাম আগের তুলনায় কমেছে। গো-খাদ্যের দাম কমে যাওয়ায় গো-খামারিরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও দুধের দামে হতাশ তারা। 

দুগ্ধ খামারিরা বলেন বর্তমানে স্থানীয় বিভিন্ন দুগ্ধ মিলে এক লিটার দুধের দাম দিচ্ছে ফ্যাট অনুযায়ী ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা হিসেবে। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হারে। এ অবস্থায় দুধের উৎপাদন খরচ উঠছে না দুগ্ধ খামারিদের। 

খামারিরা বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে খামারিরা জিম্মি হয়ে পরেছে। চরসাঁড়াশিয়া গ্রামে ক্ষুদ্র খামারি সাত্তার ব্যাপারী, চরনাকালিয়া গ্রামের নবী মোল্লা, চরনাগদাহ গ্রামের ইউসুফ মোল্লাসহ অনেক খামারি বলেন, কোরবানি ঈদের পর থেকে বাজারে প্রায় সবধরনের গো-খাদ্যের দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় খামারিরা বর্তমানে খুব স্বস্তিতে আছে। তবে দুধ উৎপাদনে এখনও লোকসান গুণতে হচ্ছে দুগ্ধ খামারিদের।

সরেজমিনে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নদী তীরবর্তী নাকালিয়া বাজারে গিয়ে কথা হয় ভূষি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, সনত কুমার দাস, হাজী ওবায়দুলসহ বেশ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীর সাথে। 

তারা বলেন, কোরবানি ঈদের পূর্বে ৩৭ কেজি ওজনের যে ভূষির বস্তা বিক্রি হতো ২২০০ টাকা দরে, সেই ভূষি এখন বিক্রি হচ্ছে ১ ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে। ধানের কুড়া ২০-২২ টাকা কেজির স্থলে বর্তমানে ১০-১২ টাকা কেজি, মসুর আগে প্রতি বস্তায় ১ হাজার ৩৫০ টাকা, বর্তমানে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, অ্যাংকার ৬০ টাকা কেজির স্থলে ৫০/৫৫ টাকা। আগে ১ মণ ধানের খড় বিক্রি হতো ৬শ থেকে ৭শ টাকা। বর্তমানে প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

টিএইচ