শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বেড়ায় যমুনায় বিলীন ফসলি জমি ও বসতভিটা 

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

বেড়ায় যমুনায় বিলীন ফসলি জমি ও বসতভিটা 

বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই এবং সবেমাত্র জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদী তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে জনপদের উপর। আর এতে আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের হাজারও পরিবার।

পাবনার বেড়া উপজেলার নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদাহ ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের লেওলাই পাড়া নামক স্থানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় আড়াইশ বিঘা ফসলি জমি ও অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করায় এসব অঞ্চলের মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চর নাকালিয়া ও পেচাকোলা মৌজার নীচু এলাকার কয়েকশ বিঘা উঠতি চিনা বাদাম ডুবে গেছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। ডুবে যাওয়া ক্ষেত থেকে বাদাম চাষিরা আধা-পাকা ও কাঁচা চিনা বাদাম তুলে আনছেন।

চর নাগদাহ গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা, স্কুল শিক্ষক লুৎফর রহমান, একই গ্রামের জাইদুল, ওমর মোল্লা, সাঈদ মোল্লাসহ অনেকেই বলেন, গত দুই সপ্তাহে নদীর পানি ৫-৬ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর ভাঙন ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে। ভাঙনে চর নাগদাহ গ্রামের নবী মোল্লা, ওমর মোল্লা, জয়নাল মোল্লা, মজিবর মোল্লা, মালেক মোল্লা, আক্কাস, রশিদের বসত বাড়ির গাছপালাসহ প্রায় অর্ধশত বসতভিটা ও ২শ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে এবং খোলা আকাশের নিচে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের লেওলাই পাড়া নামক স্থানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদীর ভাঙনে প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু দাউদ জানিয়েছেন। 

ভাঙন বিষয়ে হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, গত সোমবার চর নাগাদাহ গ্রামের ভাঙনে হুমকির মুখে কমিউনিটি হাসপাতাল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর সাঁড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যমুনা বাজার এলাকাসহ ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বেড়া ইউএনও মো. মোরশেদুল ইসলাম, বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট অন্য  কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যায়।

টিএইচ