শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

বেড়ায় রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

বেড়ায় রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কারের অভাবে, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের  নলভাঙা গ্রাম থেকে বেড়া পৌর এলাকার হাতিগাড়া চকপাড়া মসজিদ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল দশায় দুর্ভোগের শেষ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ। 

সাত কিলোমিটার রাস্তার ভাঙা অংশের তিন কিলোমিটার বেড়া পৌরসভার আওতায় এবং চার কিলোমিটার উপজেলার এলজিইডির আওতায়। ভাঙাচোরা সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উপজেলার চাকলা, বড়শিলা, নলভাঙা, পাচুরিয়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ শতশত বিভিন্ন যানবাহন। 

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের এক তৃতীয়াংশ কার্পেটিং, পিচ, খোয়া উঠে গেছে অনেক স্থানেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ, ফলে যানবাহনে চলাচল করাতো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই মুশকিল। সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দগুলো পানিতে ভরে যায়। কোনোরকমে  কিছু যানবাহন এঁকেবেঁকে চললেও দুর্ভোগ যেন এলাকাবাসীর নৃত্য দিনের সঙ্গী। সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। 

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার বড়শিলা থেকে চাকলা নলভাঙা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি। 

এতে চাকলা, কৈটোলা ইউনিয়নসহ পৌরসভার অধীনে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়। পৌর এলাকা বড়শিলা গ্রামের একেএম ফজলু, মনিরসহ অনেক মহল্লাবাসী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমের সড়কটি অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। 

এমন দুর্ভোগপূর্ণ সড়ক মনে হয় বর্তমান ডিজিটাল যুগে আর কোথাও নেই। প্রতিদিন ভাঙাচোরা সড়ক দিয়েই সাধারণ মানুষ এবং স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ যেন দেখার কেউ নেই। 

নলভাঙা গ্রামের তোমসের আলি বলেন, রাতের আধারে চলতে গিয়ে প্রায়ই এলাকার লোকজন দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কেউ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেননি। 

পাচুরিয়া গ্রামের ওমর ফারুক বলেন, সড়কটির ফলে আমরা মহাসড়ক পরিহার করে খুব সহজে দ্রুত এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গাসহ বেড়ার প্রাণকেন্দ্র চতুর হাটে যাতায়াত করতাম। কিন্তু বর্তমান সড়কটির নাজুক অবস্থায় যাতায়াত করাই বিপদ হয়ে পড়েছে। বেড়া পৌরসভার প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী ওইসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আমরা জরুরিভাবে মাটি ফেলে সড়কটি সচল রাখার চেষ্টা করছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে। 

বেড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আক্তারুজ্জামান জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে জরুরিভাবে সড়কটি মেরামত করা হবে।

টিএইচ