কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলে ফের বৃষ্টি হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো পর্যাপ্ত ত্রাণ না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট। তবে বড়লেখা ও জুড়ি ইউএনও জানিয়েছেন ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলায় ৩০৬ গ্রামের ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৭ জন মানুষ পানিবন্দি। ২ উপজেলায় ৪৮ আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৭২ জন রয়েছে।
দুই উপজেলায় ২৩৫ টন চাল সরকারিভাবে বন্টন করা হয়েছে। ১ হাজার পেকেট শুকনো খাবার বিতরণ ছাড়াও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয় সরকারিভাবে।
তবে বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের দাবি ৩ লাখের অধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষের মধ্যে চরম হতাশার ছাপ। এসব দুর্গত এলাকার মানুষ ত্রাণ পাওয়া না পাওয়ার অভিযোগের শেষ নেই।
বন্যা কবলিত লোকজন জানান, ১০ কেজি করে চাল পেয়েছি। বেশির ভাগ মানুষের না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
আর যেসব বন্যা কবলিত মানুষ ত্রাণ পেয়েছেন তাদের দাবি পর্যাপ্ত ত্রাণ পাননি। তাদের দাবি আমাদের পরিবারে ৬/৭ সদস্য ১০ কেজি চাল দিয়ে আমাদের কি হবে। আবার অনেকে বলছেন, চাল ছাড়া তাদের ঘরে কিছু নেই। তাদের লবণ দিয়ে জাউ করে খেতে দেখা যায়।
তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ও সুজাউল ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পুরো পানিবন্দি ১শ নামের পরিবর্তে ২০ জনকে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। প্রবাসীরা এগিয়ে না আসেলে মানুষের সামনে দাড়াতে পারতাম না। তারা ত্রাণ বৃদ্ধির দাবি জানান। বড়লেখা ইউএনও নাজরাতুন নাইম ও জুড়ি ইউএনও লুসি কান্ত হাজং জানান, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে আমরা দূর্গতদের সব সময় মনিটরিং করছি।
টিএইচ