বড়াইগ্রামের জোনাইল বাজারের মূল সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, পার্শ্ববর্তী এলাকার সহস্রাধিক পরিবার ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বাজারে আরেকটি ঢালাই সড়ক নির্মাণসহ ড্রেন নির্মাণ না করায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার অন্যতম বৃহৎ এ বাজারটি জোনাইল ইউনিয়ন সদরে বড়াল নদীর ধারে অবস্থিত। এখানকার প্রায় এক হাজার পরিবার ও কয়েকশ’ ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের যাতায়াতের পথ একাব্বর মোড়-জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়গামী রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা লেগে থাকে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির পিচ-খোয়া বিলীন হয়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্তসহ একাধিক জায়গায় ডোবার আকার ধারণ করেছে। পাশের মার্কেটগুলো থেকেও রাস্তাটি অপেক্ষাকৃত নীচু। তার উপরে এ রাস্তার পানি নদীতে নামার কোন ব্যবস্থা না রেখেই বাজারের ইসলামী ব্যাংক থেকে বোর্ণি রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়কটি ঢালাই করা হয়েছে।
এতে বৃষ্টি হলে এ রাস্তাটিতে জমা পানি বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রাইভেটকার, রিক্সা-ভ্যান ও বাইকসহ বিভিন্ন যান চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
স্কুলছাত্রী ইশরাত ফারজানা ও সোহেলী মুসতারিন বলেন, জোনাইলের একটি কলেজ, দুটি উচ্চ বিদ্যালয় ও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৭-৮টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের কাছে রাস্তার এ জলাবদ্ধতা রীতিমত ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক হাঁটু পানি মাড়িয়ে স্কুলে যাবার সময় কাপড়-চোপড়তো ভিজেই, কেউ পানিতে পড়ে যায়, কারও বই খাতা পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
গো—খাদ্য বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানের সামনেই এক হাঁটু পানি। বৃষ্টি হলেই ভয়ে থাকি কখন যেন পানি দোকানে ঢুকে পড়ে। ব্যবসায়ী রিপন আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতার পাশাপাশি নোংরা পানির দুর্গন্ধে দোকানে ঢোকাই দায় হয়ে পড়েছে। এ বাজার থেকে বছরে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হলেও এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই।
জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ড্রেন নির্মাণসহ একটু উঁচু করে রাস্তাটির এক কিলোমিটার অংশ সংস্কার করা হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবো।
টিএইচ