পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তের চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীস্থ বিভিন্ন সীমান্তে কঠোর নজরদারি, বাড়তি বিজিবি সদস্য মোতায়েন ও নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পশুর চামড়ার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় এবারের কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে জয়পুরহাট সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বিজিবি। এদিকে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও সর্তকতার কারণে এবছর ভারতীয় গরু পাঁচবিবিসহ সীমান্তবর্তী পশুহাটগুলোতে না আসায় স্বস্তি ফিরেছে দেশীয় খামারিদের মধ্যে। ভারতীয় গরু না আসায় দেশীয় গরুর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানাগেছে, জয়পুরহাটের-২০ বিজিবি, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত পয়েন্টসহ সীমান্তজুড়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ সর্তকতা। এছাড়া অতিরিক্ত ফোর্স (বিজিবি সদস্য) মোতায়েন করা হয়েছে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসা বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জয়পুরহাটের ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্তের সর্বত্র অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্তের ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে গোপনে দিনে কিংবা রাতে কোনোভাবে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হতে পারে।
টিএইচ