শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

ভোলার তিন উপজেলায় কনিষ্ঠদের কাছে ধরাশায়ী জ্যেষ্ঠ নেতারা

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার তিন উপজেলায় কনিষ্ঠদের কাছে ধরাশায়ী জ্যেষ্ঠ নেতারা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোলার তিন উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দলের কনিষ্ঠ নেতাদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে প্রচার-প্রচারণার কোনো কমতি না থাকলেও কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৩২ শতাংশ। প্রায় সব প্রার্থীই ছিলেন আ.লীগের। 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৮, ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২২৮টি, যা মোট ভোটের ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন (আনারস) ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস মিয়ার (মোটরসাইকেল) মধ্যে, মোশারেফ হোসেন সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও ইউনুস জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,৭১ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ইউনুস।

দৌলতখান উপজেলায় আ.লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান ১৪ হাজার ১৭২ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর জয়নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন পেয়েছেন ১২ হাজার ৩২১ ভোট। 

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন চারজন। উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান প্রার্থী হলেও তিনি তেমন প্রচার-প্রচারণা চালাননি। 

লড়াই হয়েছে তিন আ.লীগ নেতার মধ্যে, ২৯ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আ.লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুলের ভগ্নিপতি জাফর উল্লাহ চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম, তিনি আবার ভোলা-১ আসনের এমপি ও আ.লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদের ভায়রা।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক বজলু মাস্টার জানান, উপজেলা নির্বাচন কী, তা জানেন না সাধারণ মানুষ। তাই তাদের ভোট দেয়ারও আগ্রহ ছিল না।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের ভোটার মো. সেলিম জানান, প্রচণ্ড রোদ ক্ষেতখামারে কাজ থাকায় অনেকে কেন্দ্রে আসেন নি, কাজ কাম ফেলে রেখে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে হবে, এ দায় তাদের নেই।

জেলা আ.লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা বলেন, তিনটি উপজেলা নির্বাচনে যারা মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ছিলেন, তাদের প্রায় সবাই আ.লীগের নেতা। আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশ ভোটকেন্দ্রে আসেন নি, কারণ, তারা কারও বিরাগভাজন হতে চাননি, এছাড়া অন্য কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।

টিএইচ