আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা জংশন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্র জানায়, রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুসের মোটরসাইকেলের সমর্থক ও মোশারেফ হোসেনের আনারস মার্কার সমর্থকরা নিজ নিজ প্রার্থীদের সমর্থনে বাজারে মিছিল করে, মিছিলকারীরা ফেরিঘাট এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক একটি নির্বাচনি অফিস, প্রচারের অটোরিকশা ভাঙচুর এবং তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ফেরিঘাটে অপেক্ষমাণ কয়েকটি মালবাহী ট্রাক ভাঙচুর করে, এতে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এরশাদ নামের মোটরসাইকেলের এক সমর্থককে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ভোলা সদর সার্কেল রিপন কুমার সরকার জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন জানান এখানে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। আইন সবার জন্য সমান।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনি আচরণবিধি যদি লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনা ঘটে, সে বিষয় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ