ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লির কালি মন্দিরে আগুনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো সহ আরও ১০ জনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মধুখালী থানায় এ মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়।
একটি মামলার বাদী হামলায় নিহত দুই সহোদর আশরাফুল খান (২০) ও আসাদুল খান (১৮) এর বাবা মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের মো. শাহজাহান খান (৪৬)। তিনি এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনে জনতাবদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ আটক করে খুন করার উদ্দেশে মারপিট করে সাধারণ গুরুতর জখম করে হত্যা করার এবং অগ্নিসংযোগের অপরাধ।
দ্বিতীয় মামলার বাদী পঞ্চপল্লী সার্বজনীন কালি মন্দিরের পূজারী কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী তপতী রানী মন্ডল (৪৭)। তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে কে বা কাহারা ওই মন্দিরে কালি প্রতীমার পড়নের শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া পড়নের শাড়ি ও মাথার চুল পুড়ে যাওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
তৃতীয় মামলাটির বাদী মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শংকর বালা। এ মামলায় ওই থানার ওসিসহ ১০জন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় আসামি হিসেবে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মধুখালী ও বালিয়াকান্দির অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি ১০জনকে থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আসামি ও আটককৃতদের নাম পরিচয় এখনই জানানো সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লি এলাকায় মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গণপিটুনিতে দুই নির্মাণশ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও পাঁচজন।
টিএইচ