শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মধুপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২০ 

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 

মধুপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২০ 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্যাস গান ছুড়তে বাধ্য হয়েছে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িসহ অন্তত ২০টি মটরসাইকেল, কাজী ডিজিটাল হাসাপাতাল, উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুুর হয়েছে। আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে ঘিরে গত শুক্রবার বিবাদমান দুই গ্রুপের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ পালনকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করে। এদিকে মধুপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম খান আবু থানা মোড়ের দক্ষিণে পৃথকভাবে কর্মসূচির আয়োজন করে।
 
এ সভায় যোগদান করতে আসা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পথেমধ্যে হামলার শিকার হন। এই ঘটনাকে ঘিরে মধুপুরে উত্তেজনা দেখা দেয়। আহতদের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং ইদিলপুর গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেনকে (৬০) ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্তও বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। 

রাতে মধুপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, পৌরমেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ করা সম্পূর্ণ সংগঠনবিরোধী। তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার এখতিয়ার নেই। তারপরও মেয়রের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অন্তত ৬০ জনকে আহত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, সহসভাপতি কাজী আব্দুল মালেকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে মধুপুর পৌরমেয়র সিদ্দিক হোসেন খান জানান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম করার অপরাধে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে শোকজ করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কার্যক্রম করার এখতিয়ার তিনি হারিয়েছেন। তাই উপজেলা আ.লীগ ও পৌর আ.লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

এই সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের থানা মোড়ে আবুর নেতৃতাধীন কর্মীরা হামলা করে আহত করে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

মধুপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদ হোসেন জানান, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। মধুপুর থানার ৪০জন ও অন্যান্য থানার ৪০জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্যাসগান ছুড়তে হয়েছে।

টিএইচ