গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনে মনপুরার আন্দিরপাড়সহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবারের মানুষ হারিয়েছেন ভিটেমাটি। স্থানীয়দের অভিযোগ ভাঙন রোধের দাবি জানালেও টনক নড়েনি কতৃপক্ষের।
শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা, সারা বছর জুড়ে ভাঙছে মেঘনা নদী। ভাঙনে কেউ হারিয়েছেন বসতবাড়ি আবার কেউ ফসলি জমি। সব হারিয়ে অনেকে বসতি গড়েছেন অন্য গায়ে কিংবা নতুন কোনো চরে। এমন দুর্ভোগে মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদী পাড়ের মানুষ।
বিশেষ করে মনপুরা উপজেলার কাউয়ারটেক, নায়েবেরহাট, মাষ্টারহাট, দক্ষিণ সাকুচিয়া এবং রহমানপুর গ্রামে এই মৌসুমে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ফখরুল বলেন, রাক্ষুসে মেঘনার ভাঙনে আমি দুইবার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। আর কারো বসতবাড়ি যেনো মেঘনার কবলে না যায় সেজন্য নদী ভাঙন রোধে দ্রুত সিসি ব্লক দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী জানান, নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে মনপুরায় (উত্তর পাশে) ১১২কেটি টাকার প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। নতুন করে ১১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু বাস্তবায়ন হওয়ার অপেক্ষা। খুব দ্রুত এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মনপুরার চতুর্পাশে সিসি ব্লক এবং ওয়াপদা বেড়িবাঁধ হবে।
মনপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। ত্রাণ নয়, বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় দ্রুত সিসি ব্লক দেয়ার দাবি জানান মনপুরা উপজেলার মেঘনা পাড়ের মানুষ।
টিএইচ