সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মনিরামপুরে পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার 

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

মনিরামপুরে পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার 

যশোরের মনিরামপুরে পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গত শনিবার রাতে মনিরাপুরের শ্যামনগর গ্রামে অভিযান করে ঘটনায় জড়িত ২ সদস্যকে আটক করা হয়। 

এ সময় হত্যাকাজে ব্যবহূত ধারালো কুড়াল, মোটরসাইকেল, আসামিদের ব্যবহূত ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে নিহত জহিরুলের মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

আসামিরা হলেন- মনিরামপুরের শ্যামনগর গ্রামের হবিবুর মোল্লার ছেলে সফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন ও জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।

যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর মনিরামপুরের নেহালপুরগামী পাকা রাস্তার বিলের পাশে বাটবিলা নামকস্থানে কোনাকোলা বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা পুলিশ। কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও গলায় আঘাত করে জহিরুলকে হত্যা করে। 

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রী সাইফুর নাহার বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় হত্যামামলা করে। ঘটনার তদন্তে নেমে যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নিহত জহিরুল কোনাকোলা বাজারে টিউবওয়েলের ব্যবসা করতেন। জহিরুলের সঙ্গে শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে মর্জিনা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। 

বিষয়টি শফিকুল জানতে পারে এবং মর্জিনা বেগমের সঙ্গে শফিকুলের দূরত্ব তৈরি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম প্রতিশোধ নিতে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। শফিকুল সহযোগী মামুনসহ ১০ ডিসেম্বর রাতে কোনাকোলা বাজারে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে ধারালো কুড়ালের আঘাতে জহিরুলকে হত্যা করে লাশ ও মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। মর্জিনাকেও থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

টিএইচ