নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মটখোল-কটিয়াদী আঞ্চলিক সড়কের একটি অংশ উপজেলার বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র চালাকচর বাজার হতে পীরপুর, বীরগাঁও বাজার, দরগা বাজার মাস্টার বাড়ি বাজার হয়ে কটিয়াদি উপজেলার সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক দুরাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত।
যার ফলে খিদিরপুর, কৃষ্ণপুর এবং চরমান্দালিয়া এ তিনটি ইউনিয়নের জনগণের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কাছে এ রাস্তাটি মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে বড় বড় গর্তগুলোতে বালি ও ইটের খোয়া (আধলা) ফেলে কে বা কারা যেন উধাও হয়ে যায়।
বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তা মেরামতের কোন তৎপরতা নেই। এখন এ সড়ক দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচল খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, ফসলী মাঠের কৃষকদের কর্মযজ্ঞ এবং দূর-দূরান্তের যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তায় জমে থাকা পানি ও খানাখন্দেভরা বড় বড় গর্তের উপর দিয়ে নাজুক অবস্থায় আশপাশের জমির এবং মাঠের ধান, সবজি এবং বিভিন্ন ফসল নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে কৃষকদের।
চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের আলী হোসেন জানান, প্রায় ৩-৪ বছর আগে এ পাকা সড়কের রিপিয়ারিংয়ের কাজ হলেও তাতে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় আমাদের যাতায়াতের জন্য আজ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আদৌও এ রাস্তাটির কাজ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে।
এ সড়কের অনেক জায়গা ভেঙে পড়ে গেছে এবং সীমাহীন গর্তে ভরপুর। দৈনন্দিন অনেকেই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এ সড়কের জন্য তিনটি ইউনিয়নের বহু গ্রামের মানুষ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই তাদের এখন জোরালো দাবি দ্রুত এ সড়কের কাজ করা হোক।
চরমান্দালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিছ উদ্দীন শাহিন বলেন, রাস্তাটির দূরাবস্থার জন্য জনগণ খুব কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ সড়কের দুরাবস্থা দূর না হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অতিদ্রুত রাস্তাটি মেরামতের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মীর মাহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে আমি অবগত আছি। জনসাধারণের কষ্ট হচ্ছে তা সত্য। রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। তবুও যতটুকু সম্ভব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
টিএইচ