শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মাগুরায় ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল 

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল 

মাগুরা নহাটা গার্লস স্কুলের ছাত্রীসহ দুই শিক্ষকের অশ্লীল নাচের ভিডিও ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর এ ভিডিও ভাইরালের নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্কুলের সচেতন শিক্ষকদের দাবি অশ্লীলতা দূরীকরণে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

নহাটা গার্লস স্কুল ও আইডিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ কুমার দে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি এই প্রতিষ্ঠানে। তবে ভিডিওতে দেখেছি অশ্লীলতা। তার জন্য আমি দায়ী না। ওই দুই শিক্ষকই দায়ী থাকবেন, আমি যে কোন ভাবে এর থেকে রেহাই পেয়ে যাব।

ম্যানেজিং কমিটি নহাটা গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকাবাসী বলেন, পিকনিকের বাসে সংঘটিত অশ্লীল ভিড়িওটি ফেসবুকের মাধ্যমে সারাদেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। আমারা এলাকাবাসি বিভিন্ন ফেসবুকে পোস্ট থেকে দেখেছি। যা আমাদের এলাকার জন্য অত্যান্ত অসম্মান ও লজ্জাজনক।  তিনিও এমন নোংরা কাজের বিচার দাবি করেন।

নহাটা গ্রামের বাসিন্দা সাকিল সর্দার বলেন, চঞ্চল বিশ্বাস ও রায় বাহাদুর ও বহিরাগত বন্ধুরা মদ্যপ অবস্থায় মেয়েদের বাসে উঠে। প্রথমে তারা অশ্লীল গান বাজায়। এরপর অশ্লীলতাসহ ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গিমায় নিজেরা গান গেয়ে মেয়েদেরকে তাদের সাথে নাচার আহ্বান জানাতে থাকে। বাসের সিটে বসে থাকা মেয়েদের সিট থেকে জোর করে তুলে তাদের সাথে অশ্লীল নাচতে বাধ্য করে। 

ওই ভিডিও পোস্টে কমেন্ট করে শাহারিয়ার রুমি লেখেন, ভিডিওতে দুই পক্ষকেই নির্লজ্জ মনে হয়েছে। 

নহাটা গার্লস স্কুলের ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, এই শিক্ষকদের কাছ থেকে কী শিখবে আমাদের কোমলমতি মেয়েরা। তারা পিকনিকের নামে ছাত্রীদের নিয়ে অসভ্যতা, নোংরামী যৌনাচার করেছে পিকনিক বাসে। তারা দুজনে মিলে যা করেছে সেটা চরম দৃষ্টান্ত এবং চাকরিবিধির সম্পূর্ণ অবমাননা। আমরা চাই তাদের তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক যেন পরবর্তীতে আর কেউ এমন নোংরামী করতে না পারে। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অবশ্যই ওই দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়ে জবাবদিহীতার মধ্যে আনব। 

ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক চঞ্চল বিশ্বাস ও রায় বাহাদুর বলেন, আমরা নৃত্যাঙ্গন জগতের মানুষ মাঝেমধ্যে ও একটু নাচানাচি প্রায় করেই থাকি ও কোন বিষয় না। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ফেসবুকে এসব ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে তারা যা করতে পারে করুক। ওগুলো নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

মাগুরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা অফিসার মাজেদুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এখনো কমিটি বা এলাকার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কোন প্রকার অন্যায় অশ্লীলতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরদাস করা হবে না।

টিএইচ