২০১৯-২০ অর্থবছরের মাগুরার সড়ক বিভাগের আওতাধীন মাগুরা শ্রীপুর মহাসড়কের সড়ক বাঁধের মাটির কাজ, পেভমেন্ট পুনর্নির্মাণ (৫.৫ মিটার) নতুন পেভমেন্ট পুনর্নির্মাণ, ২টি ইন্টারসেকশন নির্মাণ, ডিবিএস ওয়ারিং সার্ফেসিং ২ লাখ ২ হাজার ৪৫২ মিটার, ১২শ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ।
এবং ৬টি আরসিসি বক্স নির্মাণ, কালভার্ট নির্মাণ, সসার ড্রেন নির্মাণ, আরসিসি রক্ষাপ্রদকাজ, সাইন সিগন্যাল এবং কিলোমিটার পোস্ট, গাইড পোস্ট ও রোড় মার্কিং কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের অনুমোদিত অথোরাইজড, এম এস শামিম চাকলাদারের স্টক ইয়ার্ড কাজটির দায়িত্ব রয়েছে।
মাগুরা শহরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশের পারনান্দয়ালী প্রজেক্ট বাইপাস সড়কের রাস্তার মাঝখানে বিদুতের খুঁটি রেখে কাজ শেষ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। আর এতে করে দুর্ঘটনাসহ প্রতিনিয়ত চলমান রয়েছে স্থানীয়দের নানান সমালোচনা। এদিকে সওজ বলছে, তারা বিদ্যুৎ বিভাগকে চিটি দিয়ে জানিয়েছে খুঁটি সরানোর জন্য, বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, খুঁটি সরানোর জন্য আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে টাকার ডিমান্ড দিয়েছি, টাকা পেলে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। নির্মাণাধীন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শহরের হাজারও জনগণ।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে টার্নিং নেয়ার সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে যানবাহন চলাচলে। এইসব বিদ্যুতের খুঁটি তুলতে গেলে আবার নতুন করে রাস্তা খুঁড়তে হবে। বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এসব খুঁটি। এগুলো সরকারি টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।
সরেজমিন রোববার (১৯ মে) দেখা যায়, ১০টি খুঁটি এ সড়কের মাঝখানে রয়েছে। সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। রাস্তার মাঝখানে এলোমেলো দাঁড়িয়ে আছে ১০টি বিদ্যুতের খুঁটি। যেকোনো গাড়ি মোড় নেয়ার সময় একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
পারনান্দয়ালী গ্রামের বাসিন্দা লিংকন মুন্সি জানান, বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়কের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। এখানে আসার পর একটু অসতর্ক হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। সড়কের এক পাশে মহাসড়ক ও পৌর পার্ক সড়কের অপর পাশে প্রজেক্টসহ নতুন ব্রিজ হওয়ায় আমরা সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকি।
মাগুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ, ওজোপাডিকো, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব জানান, মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী রিসেন্টলি আমাদের একটি চিঠি দিয়েছেন তাদের চাহিদা অনুযায়ী। আমরা এস্টিমেন্ট রেডি করেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে কাজটি দ্রুত করা হবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আমার সংবাদকে জানান, চলতি সময়ের মধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে কাজটি করতে হয়েছে।
মাগুরা ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, খুঁটি সরানোর খরচ সড়ক বিভাগকে বহন করতে হবে। আমরা টাকার ডিমান্ড পাঠিয়েছি। জনস্বার্থে খুঁটিগুলো দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
টিএইচ