শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মাগুরা আদালত প্রাঙ্গণে নারী অপহরণকান্ডে সাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা 

মাগুরা প্রতিনিধি 

মাগুরা আদালত প্রাঙ্গণে নারী অপহরণকান্ডে সাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা 

মাগুরা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে নারী অপহরণকান্ডে ৭ জনকে অভিযুক্ত এবং অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা রুজু করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ মামলা রুজু করেন তিনি। এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ফারুক আহমেদ, মো. আমিরুল ইসলাম কিমু, জামির মোল্লা, মোরশেদ শেখ, সৌরভ হোসেন, হাসান মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫ জন। 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাগুরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণকৃত নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে গত সোমবার অপহরণকারীদর হামলায় পুলিশের একজন এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনা স্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

পুলিশ ও  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলার বেঙ্গা বেরইল গ্রামের হারুন মোল্লার মেয়ে মাসুরা খাতুনের বিয়ে রেজিস্ট্রারের উদ্দেশ্য গত সোমবার মাগুরা জেলা জজ আদালত প্রঙ্গনে উপস্থিত হন। 

এ সময় শহরের কাশিনাথপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে জামির হোসেন বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের কনে মাসুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারী মেয়েটিকে শহরতলীর ইটখোলায় সোনালী ইট ভাটায় আটকে রাখে। 

ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনার পর সদর থানায় অভিযোগ দিলে ওইদিন মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ সময় সোনালী ইট ভাটার ম্যানেজার জমির হোসেনের নেতৃত্বে ভাটার শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। 

অপহরণকারীদের হামলায় এসআই হাফিজ, এরশাদ, সাইফুল, ওমরসহ কয়েকজন কনেস্টাবল আহত হন। পরে সদর থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অপহরণের শিকার মাসুরা খাতুন বলেন, আমার হবু স্বামী এবং আমার পরিবারের সদস্যরা মাগুরা জজ আদালতে কোর্ট ম্যারেজের জন্য উকিল বারে প্রবেশ করলে। আসামি ফারুক আহমেদের যোগসাজশে সাত আটটি মোটরসাইকেল নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদেরকে হামলা করে তুলে নিয়ে যায়। 

তুলে নিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং নগদ ৩ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া কানের দুল, একটি অপ্পো অ্যান্ডোয়েড মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমরা তৎক্ষণিকভাবে মাগুরা জেলা পুলিশের দারস্ত হলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে এ ঘটনায় মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে সোনালী ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায় কয়েক জন মিলে মাসুরা নামের ওই মেয়েটিকে আটকে রেখে নির্যাতন চালাছে। 

এ আবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ ভ্যানে ওঠানো হলে ভাটা শ্রমিকরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মেয়েটি ও তার ভাইকে মারধর করে। এ সময় তারা পুলিশর উপরও হামলা চালায়। অপহরণর ঘটনায় ব্যবহূত ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা রুজুর পাশাপাশি আসামিদের আটকের অভিযান চলমান রয়েছে।

টিএইচ