মাগুরায় ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ, মো. বজলুর রহমান,কাউসার আহমেদ, এসআই মহাসিন হাসান। মাগুরা সদর হাসাপাতাল সম্পর্কে দুদকের ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য এ অভিযান চালায় দুদক ঝিনাইদহ কার্যালয়ের একটি দল।
দুদকের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ ও মো.বজলুর রহমান অভিযানকালে হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিভাগের ওয়ার্ডে ও স্টোর রুমে সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্যসহ একাধিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি দুদকের এ দল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ওষুধের স্টোর রুমে থাকা মালামালের সঙ্গে কাগজপত্রের যথাযথ মিল আছে কি না সেটা যাচাই করেন। এ সময় খাদ্য এবং ওষুধে কিছুটা অনিয়ম দৃশ্যমান হয়।
ঝিনেদাহ দুদকের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান জানান, পুরো প্রতিবেদন আমরা কমিশনে জমা দেব,কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত কার্যক্রম চালানো হবে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোহসিন উদ্দিন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল সকালে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আসেন এবং অত্র হাসপাতালের একাধিক বিষয় তারা তদন্ত করছেন।
ঝিনেদাহ দুদকের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, ঢাকা হতে ইনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযোগের বিষয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে একটি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্পেসিফিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এসেছি হাসপাতালের বর্তমানঅবস্থা, ওষুধ, খাবারের মান, টেন্ডারের রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এগুলো এনালাইসিস করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হবে। আমরা সকালে এসে এক ঘণ্টার অধিক সময় পোশাকবিহীন অবস্থায় সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে তদন্ত করেছি, এরপরে পোশাক পরিহিত অবস্থায় তদন্ত শুরু করেছি, হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গেছি রোগীর সাথে কথা বলেছি। রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে। পুরো প্রতিবেদন আমরা কমিশনে জমা দেব, কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
টিএইচ
