স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, প্রশাসন-১ শাখা, ছাড়পত্র মোতাবেক সিভিল সার্জনের কার্যালয় মাগুরা ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে স্থায়ী রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত ১১-১৭ গ্রেডভুক্ত (৩য় শ্রেণি) পদসমূহে ৬৪ জনবল নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এ জেলা ব্যতীত কোন চাকরি প্রত্যাশি প্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লিখিত ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হবার পরে এ নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. শামীম কবির বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছ ও নিয়ম তান্ত্রিকভাবে করা হয়েছে। নাগরিক সেবা সহজলভ্য করে তোলার অঙ্গীকার বদ্ধ মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। জেলা ও এর অন্তর্ভুক্ত উপজেলার নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ৭১ জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এরমধ্যে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে কর্তৃপক্ষের যথারীতি নিয়ম মেনে মেধাবী ৬৪ জনবলকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় নিয়ন্ত্রণাধীন জেলার নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবার মানোয়ন্নের পথ সুগম করতে এ জনবল নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
দীর্ঘদিন যাবত মাগুরা সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়টি খাতে পদ শূন্য থাকায় গত ৩১ ডিসেম্বর জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সময় অনলাইনে এ জেলার ৮ হাজার ৭৪ জন চাকরি প্রত্যাশী আবেদন করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা শহরের ১৪ টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এরপর মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এ পরীক্ষায় নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক ৬৪ জন সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
নিয়োগ প্রাপ্ত কয়েকজন জানান, তাদের অধিকাংশই প্রান্তিক ও দিনমজুর পরিবারের মেধাবী ছাত্র। সুপারিশপ্রাপ্ত মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমার বাবা নেই, বড় ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী, মা ঘরে অসুস্থ, এমন প্রতিকূল অবস্থায় আমি নিয়োগপ্রাপ্ত হব ভাবতেই পারিনি।
নিয়োগপ্রাপ্তির জন্য কোন অস্বচ্ছতার পথ অবলম্বন করতে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জুয়েল বলেন, মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ বোর্ড সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতা না থাকলে আমি নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হতে পারতাম না।
স্বাস্থ্য সহকারী পদে সুপারিশ প্রাপ্ত জয়দেব রায় জানান, এই চাকরিতে নিয়োগের জন্য আমি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি এ যেন এক স্বপ্নের মত ঘটনা। পুলিশি নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
টিএইচ