মাত্র ২ ফুট (২২ ইঞ্চি) লম্বা স্থুলকাকৃত্রির শরীরের মেয়ে মাহফুজা খাতুনের বর্তমান বয়স ২১ বছর, সকলের সকল ভ্রুকুটিকে উপক্ষো করে জীবন গড়ার সংগ্রামে বর্তমান ডিগ্রি পাশ কোর্সে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করে চলেছে। শরীরের আকৃতি তার কাছে বড় নয় মনের অদম্য সাহস ও ইচ্ছাই শিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করছে।
উচ্চ শিক্ষা লাভ করে ভবিষ্যতে সে ভাল চাকরি করে দেশসেবার লক্ষ্য নিয়ে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে অধ্যায়ন করছে। সে একই উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেন ও রেহেনা খাতুনের কন্যা। উচ্চ শিক্ষা লাভ করে চাকরি করে পিতামাতার সংসারে সুখ আনাই তার উদ্দেশ্য।
মাহফুজা রাস্তায় যাতায়াত করার সময় তার স্থলকাকৃতির মাত্র ২ ফুট (২২ ইঞ্চি) শরীরের দিকে অনেকেই কৌতুলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অনেকেই হাসাসাসি ও বিরুপ মন্তব্য করে থাকে। এসব দেখতে দেখতে মাহফুজার গাঁ সওয়া হয়ে গেছে। সে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
মাহফুজারা ৩ ভাইবোন। বড় ভাই কলেজে ছোট ভাই হাই স্কুলে পড়া লেখা করে। সে পিতার দ্বিতীয় ও একমাত্র কন্যা সন্তান। ২০১৬ সালে নিজ এলাকার বেরুয়ান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং একই এলাকার বেরুয়ান মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাশ করে আটঘরিয়া উপজেলা সদরের দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি পাশ কোর্সে ভর্তি হয়। বর্তমান সে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রতিদিন তাকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে হয়।
এমন স্থুলকাকৃতির শারীকির গঠনের সংগ্রামী কন্যা মাহফুজা খাতুনকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশসেবার সুযোগ দিতে তার অভিভাবক যেমন আগ্রহী তেমনি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার দিকে সুদৃষ্টি রেখেছে বলে সে জানায়। মাহফুজা খাতুন সবার সহমর্মিতা, সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করে।
টিএইচ