দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাদক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান (৪০)। করতেন ইয়াবার ব্যবসা। পাশাপাশি মাদক সেবকও তিনি। মাদক বিক্রির অপরাধে তার নামে রয়েছে একটি মাদকের মামলা, খেটেছেন জেল। তবে এবার নিজের ভুলগুলো শুধরে ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।
গত মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে জিয়াউর নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে নিজেই হাজির হয় ঘোড়াঘাট থানায়। পুলিশকে জানান তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। জিয়াউর রহমান (৪০) উপজেলার ২নং পালশা ইউনিয়নের পাইকপাড়া-মাঝিয়ান গ্রামের জিন্নাত আলী ছেলে।
থানার ওসির কাছে লিখিত মুচলেকা দেন জিয়াউর। মুচলেকায় তিনি লিখেন, ‘আমি আর কোন দিন মাদকের ব্যবসা করবো না এবং মাদক সেবন করবো না। আগামী দিনে আমার এলাকা থেকে সব ধরণের মাদক ব্যবসা বন্ধে আমি পুলিশকে সবধরণের সহযোগীতা করবো।’
এক সময়ের মাদক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আগে আমি ইয়াবা ব্যবসা করতাম। পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মামলা দেয়। সেই মামলায় ১৪ দিন জেল খেটেছি। মামলাটি চলমান আছে।
আমি দেখলাম এসব করে সব দিক থেকেই আমার ক্ষতি। তাই নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিলাম মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন একেবারে বাদ দিয়ে দিব। তাই মঙ্গলবার রাতে আত্মসম্পর্ণ করতে থানায় গিয়েছিলাম। আমি একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। পুলিশকে ধন্যবাদ তারা আমাকে স্বাগতম জানিয়েছে।’
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন, ‘জিয়াউর তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকরণ হতে পারে সে। কেও যদি অপরাধ জগৎ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সাহায্য সহযোগীতা করা হবে।’
টিএইচ